
Publisher(s): Society for Environment and Human Development (SHED)   
First Published: 2005 No. of Pages: 276 Weight (kg): 0.5
UPL Showroom Price: 250.00 BDT
সবুজ সৌন্দর্যে বাংলাদেশের তুলনা মেলা কঠিন। তারপরও দেশটি বন সম্পদে মোটেও সমৃদ্ধ নয়। ১৯২৭ সালে বন আইন সংস্কারের সময় বর্তমান বাংলাদেশ ভূ-খণ্ডে বনভূমির পরিমাণ ছিল মোট আয়তনের ২০ শতাংশ। বর্তমানে তা কমে ছয় শতাংশে নেমে এসেছে। এ পরিসংখ্যানও প্রশ্নাতীত নয়। দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে সুন্দরবন ছাড়া সত্যিকারের বন বলতে যা কিছু অবশিষ্ট আছে তা ছিটেফোঁটা মাত্র। বনভুমির অনেক জায়গায় তৈরি করা যে কৃত্রিম বনায়ন দেখি তা যে প্রকৃত অর্থে বন নয় তা বলার অপেক্ষা রাখে না। সরকারি বনভূমিতে বৃক্ষ ফিরিয়ে আনার চেষ্টা আছে। তবে বিদেশী ঋণের টাকায় ও প্রায় ক্ষেত্রে বিদেশী প্রজাতি দিয়ে বনায়নের যে চেষ্টা তাতে কিছু গাছ ফলানো সম্ভব হলেও সত্যিকারের বন তৈরি হচ্ছে না। কারণ চাষ করে তো বন সৃষ্টি করা যায়না। বরং সরকারি বনভূমিতে কৃত্রিম বনায়ন করতে গিয়ে বনবিনাশের প্রক্রিয়াসমূহকেই আরো জোরদার করা হয়েছে এবং অনেক জায়গাতে মারাত্মক বিরুপ প্রতিক্রিয়া হয়েছে। আমাদের সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থাসমূহ এবং যেসব বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান বনায়নের জন্য ঋণ, পরামর্শ ও চাপ দিচ্ছে তারা জনসংখ্যার চাপ, দারিদ্র্য, জুমচাষ, জ্বালানি কাঠ সংগ্রহ এসবকেই বনবিনাশের মুল কারণ হিসাবে চিহ্নিত করে। এ গ্রন্থে নানা তথ্য-উপাত্ত এবং আলোকচিত্রের পাশাপাশি কি করে দরিদ্র মানুষ ও বনবাসীর উপর অনৈতিকভাবে দোষ চাপানো হয় তার ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ দিয়েছেন গ্রন্থের লেখক। গত দেড় দশক ধরে তিনি বন ও বনবাসীর খুব কাছাকাছি গেছেন এবং স্বচক্ষে দেখেছেন বন ও বনবাসীর বেদনার নানা চিত্র। তাঁর দৃষ্টিতে দরিদ্র মানুষ নয়, বনবিনাশের জন্য সব থেকে বেশি দায়ি রাষ্ট্রীয় ভূল নীতি- কৌশল, উৎপাদনমুখী ও কৃত্রিম বনায়ন, বহুজাতিক উন্নয়ন ব্যাংকসমূহের চাপ ও কিছু মানুষের লোভ।
This book features in: Academic and Reference Books Geography Urban and Regional Planning URP