
নারীমুক্তি বিষয়ক ধারণা প্রচলিত বৃত্ত ভেঙে সমপ্রসারণ অর্জন করছে নানাভাবে। সত্তরের দশক থেকে বিশ্বব্যাপী নারীবাদী চিন্তা-চেতনায় যোগ হচ্ছে নতুন ভাবনা, দৃষ্টিভঙ্গি ও বিশ্লেষণ। আমাদের দেশে ও সমাজে নারীর অবদান এবং ভূমিকার বিচার-বিশ্লেষণের প্রতি মনোযোগ ক্রমশ বাড়ছে। তবে এ ক্ষেত্রে করণীয় রয়ে গেছে অনেক, চলার পথও দীর্ঘ ও দুস্তর। বাংলার পথিকৃৎ কয়েকজন নারীর জীবনকৃতি বিশ্লেষণের প্রয়াস নেওয়া হয়েছে বর্তমান গ্রন্থে। নারীর অকীর্তিত অবদান তুলে ধরার দিকে বিশেষভাবে দৃষ্টি দিয়ে বারোজন বিশিষ্ট নারীর ভূমিকার ওপর আলোকপাত করা হয়েছে প্রবন্ধগুলিতে। আশা করা যায়, নারী-অধ্যয়নে আগ্রহীজন এখানে তাঁদের ভাবনা পরিপ
১৮ থেকে ২০ শতক -এই তিনশ বছরের বাঙালি নারীর জীবন-সংগ্রামের ইতিহাস নিয়ে রচিত হয়েছে আমি নারী বইটি। এই দীর্ঘ কালপরিক্রমায় বাঙালি নারীর জীবন বাস্তবতার সকল দিককে তুলে ধরা হয়েছে এ বইতে। হাজার হাজার বছরের অশিক্ষা, কুশিক্ষা, কুসংস্কার ও পশ্চাৎপদতার অচলায়তন ভেঙে বাঙালি নারী কিভাবে আজ দেশের ক্ষমতার শীর্ষবিন্দুকে স্পর্শ করতে পেরেছে তার এক ধারাবাহিক বিবরণ এ বইতে পাওয়া যাবে। অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে ক্রমে ক্রমে বাঙালি নারীর জাগরণ ও আত্মপ্রতিষ্ঠা লাভের এই ইতিহাসটি নিরবচ্ছিন্ন সংগ্রাম, সাফল্য, বিপুল ত্যাগ-তিতিক্ষা ও সুগভীর বেদনার কাহিনীতেও ভরপুর। সহজ হয়নি এ উত্থান। আজও তার চলার গতি মোটেই নিরাপদ নয়। বাংল
প্রতিক্রিয়াশীল শক্তি নারী সমাজকে যে অবরুদ্ধ, পশ্চাৎপদ ও সকল রকম অধিকার থেকে বঞ্চিত রাখার অপচেষ্টা করে, তাকে প্রতিহত করে মেয়েরা সমঅধিকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে সোচ্চার হযে উঠেছে. উনিবিংশ শতকে রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন অবরোধবাসিনীদের হযে নারীর প্রতি বৈষম্য ও নির্যাতন প্রদর্শনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। বেগম রোকেয়ার পূর্বেও বহু বঙ্গনারী সমাজে মাতৃকার স্বাধীনতার সংগ্রামে অস্ত্র ধারণ করেছেন এবং নেতৃত্ব দিয়েছেন। এই গ্রন্থে লেখিকা নারীর বর্তমান অবস্থার কারণসমূহ বিশ্লেষণ করে বাংলার নারী আন্দোলনের ইতিহাস সংক্ষিপ্ত অথচ বিশদরূপে উপস্থিত করেছেন।
‘যৌতুক’ বাঙালি সমাজের এক অতি পুরনো ব্যাধি। একসময়ে বাঙালি হিন্দু-সমাজে যৌতুক ছিল ‘স্ত্রীধন’ অর্থজ্ঞাপক। বাঙালি মুসলিম-সমাজে বিশ শতকের আগে বরপক্ষের দাবি ও বধূ-নির্যাতনের ঘাতকরূপে যৌতুক অথবা বরপণের তেমন অস্তিত্ব ছিল না। কালক্রমে হিন্দু ও মুসলিম উভয় সমাজে যৌতুক প্রচলিত হয়েছে। বাঙালি পিতৃতান্ত্রিক সমাজকাঠামোতে হিন্দু ও মুসলিম ধর্মভিত্তিক নীতি, শাস্ত্র ও বিধানের পার্থক্য ঘুচিয়ে ‘যৌতুক’ আজ একবিংশ শতাব্দীতে ‘যৌতুকের সংস্কৃতি’তে পরিণত হয়েছে। যৌতুক-সংস্কৃতির এই চিত্র বিগত দুই শতকের সাহিত্যিকদের বিভিন্ন রচনায়, সাময়িকপত্র ও সংবাদপত্রে ছড়িয়ে রয়েছ
Pious Passengers is a study of the hajj, from Mughal India to Mecca. It covers in detail the economic, religious, cultural and political aspects of this important phenomenon. The hajj was the greatest assemblage of people to take place anywhere in the early modern world with many thousands taking part in it every year. The study thus contributes not only to Mughal Indian history but also to the history of Islam in general.
বাংলাদেশের নারী অধঃস্তনতা সমাজ, রাজনীতি, অর্থনীতিসহ সকল স্তরে অত্যন্ত ব্যাপক। এর প্রধান কারণ পিতৃতান্ত্রিকতা, পিতৃতান্ত্রিক রাষ্ট্রীয় কাঠামো এবং বিদ্যমান মূল্যবোধ। এ দেশের সমাজ ও রাজনীতিতে নারী অধিকার সংরক্ষণ, উন্নয়ন ও অংশগ্রহণ জেন্ডারভিত্তিক অসম ক্ষমতা-সম্পর্কের ভেতরে সম্পন্ন হয়। স্বাধীনতা উত্তরকালে নারীর প্রান্তিকতা ও পশ্চাৎপদতার প্রেক্ষাপটে নারী উন্নয়নের প্রয়াস যেমন উৎসাহব্যঞ্জক, নারী উদ্ধারে জাতীয় সংরক্ষণ নীতি গ্রহণ ও তার সম্প্রসারণ তেমনি লক্ষণীয়। এসব নীতি ও আইন প্রণীত হলেও প্রয়োগ ও বাস্তবায়নের অভাবে নারী সমাজের উল্লেখযোগ্য অংশ ক্রমাগতভাবে বঞ্চনার শিকার হয়ে চলেছে। তবে এর পাশাপ
ঔপনিবেশিক শাসন থেকে মুক্তি এবং স্বাধীনতা অর্জনের পর থেকেই অর্থনৈতিক উন্নয়ন উন্নয়নশীল বিশ্বের দেশ সমূহের রাষ্ট্রনীতির অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হয়ে দাঁড়িয়েছে। গত অর্ধ শতকে বিষয়টি নিয়ে তাত্ত্বিক পর্যায়ে যেমন আলোচনা হয়েছে অনেক, তেমনি বিবর্তন ঘটেছে উন্নয়ন সম্পর্কে মূল ভাবনাতেও। দারিদ্র্য হ্রাস, অসাম্য এবং কর্মসংস্থান এসব বিষয়ে সাফল্য নিয়েও বিতর্ক হচ্ছে। অন্যদিকে বিশ্ব অর্থনীতিতে দ্রুত পরিবর্তন ঘটছে এবং বিশ্বায়নের প্রক্রিয়াও দ্রুততর এবং ঘনিভূত হচ্ছে। অর্থনৈতিক উন্নয়নে এই প্রক্রিয়া কি অবদান রাখছে সে প্রশ্ন এসে যাচ্ছে স্বাভাবিকভাবেই। তবে পাশাপাশি রয়ে গেছে উন্নয়নের গোড়ার প্রশ্নঃ কৃষি ও শিল