
সবুজ সৌন্দর্যে বাংলাদেশের তুলনা মেলা কঠিন। তারপরও দেশটি বন সম্পদে মোটেও সমৃদ্ধ নয়। ১৯২৭ সালে বন আইন সংস্কারের সময় বর্তমান বাংলাদেশ ভূ-খণ্ডে বনভূমির পরিমাণ ছিল মোট আয়তনের ২০ শতাংশ। বর্তমানে তা কমে ছয় শতাংশে নেমে এসেছে। এ পরিসংখ্যানও প্রশ্নাতীত নয়। দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে সুন্দরবন ছাড়া সত্যিকারের বন বলতে যা কিছু অবশিষ্ট আছে তা ছিটেফোঁটা মাত্র। বনভুমির অনেক জায়গায় তৈরি করা যে কৃত্রিম বনায়ন দেখি তা যে প্রকৃত অর্থে বন নয় তা বলার অপেক্ষা রাখে না। সরকারি বনভূমিতে বৃক্ষ ফিরিয়ে আনার চেষ্টা আছে। তবে বিদেশী ঋণের টাকায় ও প্রায় ক্ষেত্রে বিদেশী প্রজাতি দিয়ে বনায়নের যে চেষ্টা তাতে কিছু গা
মনোজাগতিক বিষয়-আশয় নিয়ে পত্র-পত্রিকায় ড.
গর্ভকাল, প্রসব বেদনা, প্রসব, বিশ্রামের ধারণা, চিকিৎসা ইত্যাদির অর্থ স্থির, কিংবা ধ্রুব কিছু নয়। শ্রেণী, প্রজন্ম কিংবা সমাজভেদে এ বিষয়গুলোর অর্থ ভিন্ন হয়ে যায়। ঢাকা শহরে করা এই গবেষণা কাজে গর্ভাবস্থাকে মধ্যবিত্ত ও শ্রমিক-এই দু’টি শ্রেণী এবং তরুণ ও বয়োজ্যেষ্ঠ-এই দুই প্রজন্মের ভিত্তিতে বোঝার চেষ্টা করা হয়েছে। একই সাথে এ কাজের বিবেচনায় ছিল নিরাপদ গর্ভকাল ও নবজাতকের জন্য চিকিৎসাবিজ্ঞান ও চিকিৎসকের ক্রমশ প্রশ্নাতীত হয়ে ওঠা এবং গর্ভকাল ও প্রসব সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোও। সামাজিক গবেষণার গুণগত পদ্ধতি ব্যবহার করে সম্পন্ন এই কাজে নিবিড় সাক্ষাৎকারে
বিশ্বের বিজ্ঞানী সমাজ কয়েক দশক ধরে গ্রীন হাউজ প্রতিক্রিয়া নিয়ে চিন্তিত হলেও সাধারণভাবে এই সচেতনতা অল্প কিছুদিন আগেও তেমন লক্ষ্য করা যায় নি। ১৯৮৮-র ২৪শে জুন আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের ‘নাসা’ (NASA) মহাশূন্য গবেষণাগারে নিযুক্ত গডগার্ড ইন্সটিটিউট এর লব্ধ-প্রতিষ্ঠ আবহাওয়া বিজ্ঞানী জিম হেনসেন ওয়াশিংটন ডিসি তে শক্তি ও প্রাকৃতিক সম্পদ কমিটিতে সাক্ষ্য দিতে গিয়ে বলেন যে, "গ্রীন হাউজ প্রতিক্রিয়ার প্রভাব নিশ্চিতভাবেই যে ক্রিয়াশীল সেটা প্রমাণ করার মত যথেষ্ট লক্ষণ এখন দৃষ্টিগ্রাহ্য।" এমন এক সময়ে তিনি বিষয়টি তুলে ধরেন যখন আমেরিকার কৃষি বিভাগ ওহাইও থেকে মনটানা এবং টেক্সাস থেকে
যন্ত্রসভ্যতার অর্জন অনেকখানি, সেটা অনস্বীকার্য, তবে তাতে যে ভালোর সঙ্গে মন্দের অংশভাগও অঢেল সেটা যথাসময়েই আঁচ করেছিলেন প্রাজ্ঞজন, বলেছিলেন প্রকৃতিকে কিছুটা ছাড় দিতে। আসলে প্রয়োজন ছিল সমঝোতার, কিন্তু সেটা হয়ে ওঠেনি, হওয়া হয়তো সম্ভব ছিল না। প্রকৃতির সঙ্গে মিথোজীবিতানির্ভর জীবনচর্চা ও যন্ত্রসভ্যতার দ্বন্দ্ব খুবই মৌলিক। এক্ষেত্রে লাভালাভের হিসাব মিলানো সহজ নয়। এ নিয়ে বিস্তর লেখালেখি হয়েছে বিদেশে, আমাদের দেশে অবশ্য কম। নিসর্গ, নির্মাণ ও নান্দনিক ভাবনা এই ধরনেরই একটি বই এবং সেজন্য কিছুটা হলেও নতুনত্বের দাবিদার। আরেকটি প্রসঙ্গও এতে গুরুত্বসহকারে আলোচিত যা বিশেষজ্ঞদের চিন্তার খোরাক যোগাবে-
সরকারীভাবে বেলজিয়ামের ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর পত্তন হয় ১৭২২ সালে। আবার ১৭৩১ সালে এই কোম্পানী উঠিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু এই কোম্পানীর পত্তনের আগেই বেলজিয়ামের কিছু উৎসাহী ব্যক্তি লাভজনক এশিয়া বাণিজ্যে অংশ নেন। ফ্রাঁসোয়া দ্য স্খওনামিলে ছিলেন এঁদের মধ্যে অন্যতম। দ্য স্খোনামিলের জীবনকে সামনে রেখে বাংলায় বেলজিয়ামের বাণিজ্যের ইতিহাসের দুর্লভ বিবরণ পার্মেন্তীর লিপিবদ্ধ করেছেন ‘শূন্যগর্ভ কোম্পানী’তে। আসলে এই বিবরণ আঠারো শতকে বাংলায় ইউরোপীয়দের কার্যকলাপেরও এক চমৎকার ইতিহাস। প্রথম থেকেই ইংরেজ ও ওলন্দাজ কোম্পানী বেলজিয়ামের বাণিজ্যে বাধা দিতে দিতে থাকে। কিন্তু বাংলাকে কেন্দ্র করে আন
কাশ্মীরিয়ানায় ভক্তি-সুফি-ঋষি সংস্কৃতির স্মরণে সাউথ এশিয়া ফাউন্ডেশন (সাফ) দুটি অনন্য ও স্মরণীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এর একটি ছিল জুনুন ও দ্য সিংস-এর পরিবেশনায় ভারতীয়/পাকিস্তানী যৌথ মিউজিক কনসার্ট এবং অপরটি দক্ষিণ এশীয় মহিলা চিত্রকরদের চিত্রকর্মের অভূতপূর্ব প্রদর্শনী। মদনজিৎ সিং ঐ দুই ঘটনার বর্ণনা করেছেন এই বইতে। সেই সূত্রে গভীর প্রজ্ঞার সাথে উল্লেখ করেছেন দক্ষিণ এশিয়ার সঙ্গীত ও শিল্পের মধ্যে যুগপ্রাচীন সম্পর্ক এবং কাশ্মীরিয়ানার বহুত্ববাদী সংস্কৃতি ও উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত ঐতিহ্যের কথা। ২৬ মে ২০০৮ তারিখে ইনস্টিটিউট অব কাশ্মীর স্টাডিজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মদনজিৎ সিং তাঁর রচিত দিস
লোকশিল্পের প্রধান ভূ-ভাগ গ্রামাঞ্চল, আর লোকশিল্পীরা প্রধানত শ্রমজীবী মানুষ। গ্রামাঞ্চলের চাহিদা, ইচ্ছা, স্বপ্ন, অভিজ্ঞতা লোকশিল্পের নানা উপাদান। এই শিল্পের কৃৎকৌশল সামান্য। লোকশিল্পকে তিনভাবে চিহ্নিত করা যায়ঃ আধুনিক শিল্পের পূর্ব-অবস্থা বলে; গ্রামীণ শিল্পকর্মের নমুনা বলে; এবং শ্রমজীবী মানুষ কৃষক, ভূমিহীন, সমাজ-অন্ত্যজদের শিল্পকর্ম বলে। তিন অর্থেই লোকশিল্প শাসক শ্রেণীর শিল্পের বিপরীত, পরিশীলিত শিল্পের উল্টো। শিল্প ও সমাজের, বাংলাদেশের লোকজ সংস্কৃতি এবং স্টাবলিশমেন্টের সংস্কৃতির সম্পর্কের নানাধিক অধ্যাপক বোরহানউদ্দিন খান জাহাঙ্গীর বিচার, বিশ্লেষণ, মূল্যায়ণ করেছেন এই গ্রন্থে, ইতিহাস এবং সমকা
শিশু বিকাশ কেন্দ্র ১৯৯১ সাল থেকে যে সকল শিশুর স্বাভাবিক বিকাশ প্রাপ্তির সমস্যা আছে তাদের জন্য কাজ করে আসছে। দেখা গেছে দৃষ্টিহীন ও স্বল্পদৃষ্টি সম্পন্ন শিশুদের সংখ্যা ক্রমে ক্রমে বেড়ে চলেছে। এই বইটি বাবা-মা এবং প্রাথমিক পর্যায়ের সেবাপ্রদানকারী ও পেশাজীবীদের মধ্যে সচেতনতা জাগিয়ে তুলবে যা যথাশীঘ্র সনাক্তকরণ ও চিকিৎসা ব্যবস্থা প্রণয়নের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং যথাযথ দৃষ্টি বিকাশে সহায়ক হবে। শিশু-বিকাশ কেন্দ্রে দৃষ্টির সমস্যা আছে এ ধরনের শিশুদের পর্যায়ক্রমিকভাবে পরীক্ষা করে দেখা গেছে অনেক শিশুর দৃষ্টির উন্নতি হয়েছে। শিশু বিকাশ কেন্দ্র দৃষ্টিশক্তি পরীক্ষা ও সমস্যা সমাধানের জন্য মূলত &