
সিকস্তি মানে ভাঙ্গন, নদীর ভাঙ্গন, উপকূলের পরিবর্তন। নদীর পাড় ভাঙ্গে আবার অন্যস্থানে জেগে ওঠে। মালিকানা নিয়ে কলহ, সংঘর্ষ এখানে নিত্য-নৈমিত্তিকের ঘটনা। প্রভাবশালী চক্রের সাথে এখানে যুক্ত হয় প্রশাসনের হাত। দরিদ্র ভূমিহীন বঞ্চিত হয় অন্যভাবেও - জমি জরিপে, খাস জমি বন্দোবস্তে। ক্ষমতার বলয়ে নানা অভিসন্ধির কূটচালে বিপণ্ন হয় তাদের স্বার্থ, বিনষ্ট হয় জীবন। ‘সিকস্তি’ বৃহৎ অর্থে সমাজের চারিদিকের ভাঙ্গন। শিক্ষায় সন্ত্রাস, রাজনীতিতে অস্থিরতা, মানবিক সম্পর্কের অবনতি, ন্যায়-নীতির বিপর্যয়, সুস্থ মূল্যবোধের অবক্ষয় এই ভাঙ্গনেরই নানা মাত্রা। গ্রামীন পটভূমি এই উপন্যাসের মূল হলেও শহর এসেছে
জন-অরণ্য শংকরের বহুল পঠিত ও পাঠকনন্দিত উপন্যাসগুলির মধ্যে অন্যতম। ১৯৭৩ সালে এটি প্রথম প্রকাশিত হয়। সত্যজিৎ রায় ১৯৭৬ সালে এই বইটির চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন।
এপার বাংলা ওপার বাংলা শঙ্করের একটি অন্যতম জনপ্রিয় গ্রন্থ। এই গ্রন্থের রচনাকাল ডিসেম্বর ১৯৬৭ থেকে ১৯৬৯। প্রথম অংশটি ফেব্রুয়ারি ১৯৬৮ সালে দেশ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।
৭ ডিসেম্বর ২০০৮, ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে শংকরসৃষ্টির সমুদ্রমন্থন করে ত্রয়ী উপন্যাস 'কথা মন্থন'। মনোবিজ্ঞান, সমাজবিজ্ঞান ও মনসংযোগ গবেষণার প্রবেশ-নিষেধ জগতে এই প্রথম বাঙালি কথাসাহিত্যিকের নিঃশব্দ অনুসন্ধান ও উদঘাটন।
'আশা আকাঙ্খা' শংকরের বহুল পঠিত ও পাঠক নন্দিত উপন্যাসগুলির মধ্যে অন্যতম। ১৯৭৩ সালে এটি প্রথম প্রকাশিত হয়।
পুরো পাঁচ বছরের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় চৌরঙ্গী উপন্যাসের সৃষ্টি দেশ পত্রিকায় ধারাবাহিক প্রকাশ ১৯৬১ সাল থেকে, গ্রন্থাকারে প্রথম প্রকাশ ১০ই জুন ১৯৬২।
সেনরাজার শাসন থেকে স্খলিত হয়ে যাচ্ছে দেশ, তুর্কী আক্রমণ অত্যাসন্ন। তবু সামন্ত-মহাসামন্তদের অত্যাচারের শেষ নেই। সেই অত্যাচার রুখে দাঁড়ায় কখনো অন্ত্যজেরা, কখনো বৌদ্ধেরা। শাসকদের বিশেষ রোষ তাই তাদের উপরেই। তাদেরই একজন প্রশ্ন করে: “দেখো, এই কি মানুষের জীবন? সুখ নেই, স্বস্তি নেই, গৃহ নেই, কেবলই প্রাণ নিয়ে পলায়ন করতে হচ্ছে - এর শেষ কোথায়? এ জীবন কি যাপন করা যায়?