ফ্রাংকেনস্টাইনের অত পৃথিবীব্যাপী পরিচিত ও জনপ্রিয় বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী পৃথিবীতে দ্বিতীয়টি নেই। ১৮২৮ সালে মেরী শেলী এই উপন্যাসটি রচনা করেন। তিনি ছিলেন প্রখ্যাত ইংরেজ কবি পি বি শেলীর স্ত্রী। স্বামী ও স্বামীর বন্ধু লর্ড বায়রনের উৎসাহে তিনি এটি রচনা করেন। ফ্রাংকেনস্টাইন ছিলেন বিজ্ঞানী। পৃথিবীকে তাক লাগানো আবিষ্কারের নেশায় তিনি মানুষ সৃষ্টি করতে চাইলেন। ফল হলো বিপরীত। তিনি যাকে সৃষ্টি করলেন সেটি মানুষ না হয়ে হলো দানব। ভয়ে এবং হতাশায় ফ্রাংকেনস্টাইন তাকে ত্যাগ করলেন। অপরদিকে সৃষ্টিকর্তা কর্তৃক পরিত্যক্ত ও নিঃসঙ্গ দানব প্রতিশোধের স্পৃহায় ফ্রাংকেনস্টাইনের আপনজনদের হত্যা করে, কিংবা তাদের মৃত্
আমেরিকান ঔপন্যাসিক মার্ক টোয়েনের জোড়া উপন্যাস এডভেঞ্চারস্ অব টম সয়্যার (১৮৭৬) এবং এডভেঞ্চারস্ অব হাকলবেরি ফিন (১৮৮৪) পৃথিবীব্যাপী ক্লাসিক রচনা হিসাবে সমাদৃত। এই বইটি তাঁর শেষোক্ত বইটির রূপান্তর। মার্ক টোয়েনের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে তাঁর গল্প বলার এবং খুঁটিনাটিকে প্রাণবন্তভাবে তুলে ধরার অসাধারণ ক্ষমতা। উপরোক্ত দুটো বইতে তাঁর নিজের শৈশব ধরা পড়েছে বলেও তা হয়ে উঠেছে অত্যন্ত আন্তরিক। তাঁর বাল্য জীবনের বন্ধু ছিল টম ব্ল্যাংকেনশিপ। তাঁর বাবা ছিলেন পাঁড় মাতাল। তিনি টমকে দেখাশুনা করতেন না যেমনটি একজন বাবার করা দরকার। এই বইয়ের প্রধান চরিত্র হাকলবেরি ফিন হচ্ছে তাঁর সেই বন্ধু টম।
বাংলাদেশ থেকে হাজার হাজার কিলোমিটার দূরের একটি দেশ গ্রীস। বাংলাদেশের মতই ছোট্ট, তবে দ্বীপ আর পাথুরে পাহাড় আছে অনেক। এখন এক কোটির মত মানুষ সেখানে বাস করে। গ্রীসের লোকদের বলে গ্রীক। গ্রীকরা একটি প্রাচীন ও যোদ্ধা জাতি। আজ থেকে প্রায় আড়াই হাজার বছর আগে ঐ দেশের এক মহাবীর পৃথিবী জয় করতে বেরিয়ে ভারত পর্যন্ত এসেছিলেন। তাঁর নাম আলেকজান্ডার। এই বইয়ের গল্পগুলো ঐ দেশের। লোকের মুখে মুখে এই গল্পগুলো বেঁচে আছে কতশত বছর ধরে কে জানে!
শিশুদের কাছে রূপকথার গল্পের আবেদন চিরকালীন। এ রকম গল্পের নেই কোনো দেশ-বিদেশ। জার্মানির প্রচলিত একটি রূপকথার গল্প যেমন আমাদের দেশের একটি শিশুর কাছে আকর্ষণীয় হতে পারে, তেমনি আমাদের দেশের কোনো লোক্কাহিনীও জার্মান বা জাপানি কোনো শিশুর কাছে পছন্দনীয় হতে পারে। রূপকথার গল্প মানেই তো আশ্চর্য সব চরিত্র আর অদ্ভুত অদ্ভুত সব কাণ্ডকারখানা। সব দেশের সব শিশু তাই এইসব গল্প পড়তে ভালোবাসে। এ বইটিতে তিনটি ভিন্ন ভিন্ন দেশের তিনটি সুন্দর গল্পকে বেছে নেয়া হয়েছে। প্রথম গল্পটি আফ্রিকার, দ্বিতীয় গল্পটি জাপানের এবং তৃতীয় গল্পটি জার্মানির লোককাহিনী অবলম্বনে রচিত। গল্পগুলো নির্বাচনে শিশুমনের চাহিদার পাশাপাশি তা